উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে ও প্রতিকারে হিজামা থেরাপী:

উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে ও প্রতিকারে হিজামা থেরাপী:
রক্তচাপ কি?
মানব দেহের রক্ত, ধমনি ও শিরার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ধমনি ও শিরার ভেতর দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় ধমনি ও শিরার গায়ে চাপের সৃষ্টি করে। এই চাপকেই রক্তচাপ বলা হয়ে থাকে।
একজন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির হৃৎপিণ্ড মিনিটে ৭০-৮০ বার পাম্প করে থাকে। পাম্পের সংকোচন পর্যায়ের রক্তচাপকে বলা হয় সিস্টিলিক রক্তচাপ (Systoloic Blood Pressure) এবং প্রসারণ পর্যায়ে রক্তচাপকে বলা হয় ডায়াস্টিলিক রক্তচাপ (Diastolic Blood Pressuure) পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির  জন্য স্বাভাবিক রক্তচাপঃ সিস্টলিক ৯০-১২০ মি. মি. মারকারি এবং ডায়াস্টলিক ৬০-৮০ মি. মি. মারকারি।
সম্ভাব্য উচ্চ রক্তচাপ (প্রিহাইপারটেন্সিভ) ১২০১৩৯ মি.মি. মারকারি এবং ডায়াস্টলিক ৮০৯০ মি.মি. মারকারি।
উচ্চ রক্তচাপ (হাইপারটেন্সিভ) ১৪০ বা তার ঊর্ধ্বে এবং ডায়াস্টলিক ৯০ বা তার উর্ধ্বে।
 
উচ্চ রক্তচাপের কারণ ও ঝুঁকি সমূহ:
সিস্টিলিক রক্তচাপ ১২০ এর ঊর্ধ্বে এবং ডায়াস্টলিক রক্তচাপ ৯০ এর ঊর্ধ্বে হলে সে অবস্থাকে উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়ে থাকে।  উচ্চ রক্তচাপের কারণ এখনো চিকিৎসা বিজ্ঞানে সুনির্দিষ্টভাবে বের করা সম্ভব হয়নি। তবে কিছু রোগ যেমনকিডনি, হৃৎপিণ্ড ও সঞ্চালন পদ্ধতি, হরমোন, মস্তিস্কের রোগ এবং কিছু ঔষুধ গ্রহনের ফলে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের কারণ ‍সুনির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব না হলেও কিছু ঝুঁকিকে নির্ণয় করা সম্ভব হয়েছে। যেমনশরীরের অতিরিক্ত ওজন, কায়িক পরিশ্রম বিমুখতা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ, তামাক গ্রহণ, বংশগত, ডায়াবেটিস, রক্তে অতিরিক্ত চর্বি ও মদপান।
 
উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ:
অনেক ক্ষেত্রেই উচ্চ রক্তচাপ ব্যক্তির অজান্তেই বিদ্যমান থাকে। কখনো কোন প্রয়োজনে রক্তচাপ মাপা হলে দেখা যায় তিনি উচ্চ রক্তচাপে ভুগছ্নে। উচ্চ রক্তচাপের কিছু লক্ষণ নিম্নরূপ:
  • ঘুম থেকে জেগে উঠার পর মাথা ব্যথা
  • মাঝে মধ্যে মাথা চক্কর দেওয়া।
  • মাথার পেছন দিকে ও ঘাড় ব্যথা করা।
  • অতিরিক্ত ঘাম।
  • হৃদরোগ, কিডনি রোগ, ব্রেন স্ট্রোকের লক্ষণ থাকতে পারে।

 

উচ্চ রক্তচাপের জরুরি অবস্থা:
বিবিধ কারণে রক্ত চাপের মাত্রা কখনো কখনো অত্যাধিক বেড়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে রক্তচাপ ১৮০/১১০ বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে। উপরের লক্ষণগুলিসহ ব্যক্তি দ্রুত শ্বাস, বুকে ব্যথা, পায়ে পানি ও দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকবে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ব্যক্তি হার্ট এটাক, ব্রেন স্ট্রোক অথবা অন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ জটিলতায় ভুগবে।
 
উচ্চ রক্তচাপের জরুরি অবস্থায় প্রথমিক চিকিৎসা:
  • ব্যক্তিকে আশ্বস্ত করুন।
  • রক্তচাপ ও রক্তে চিনি মাপার ব্যবস্থা করুন।
  • রক্তচাপ ১৮০/১১০ এর ঊর্ধ্বে থাকলে চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন। তিনি কোন ওষুধ সেবন করতে বললে ব্যক্তিকে সে অনুযায়ী ওষুধ দিন।
  • রক্তে চিনির পরিমাণ ৫ মিলি মোলের কম থাকলে মিষ্টি খাবার খেতে দিন।
  • হাসপাতালে প্রেরণের ব্যবস্থা করুন।
  • ব্যক্তি যদি অজ্ঞান অবস্থায় থাকে তাহলে কোন প্রকার পানীয় খাওয়ানো যাবে না। শ্বাসপ্রশ্বাসের পরীক্ষা ও ব্যবস্থাসহ দ্রুত হাসপাতালে প্রেরণের ব্যবস্থা করতে হবে।
 
উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে ও প্রতিকারে হিজামা থেরাপী:
  • নিয়মিত হিজামা থেরাপী গ্রহণের মাধ্যমে আপনি উচ্চ রক্তচাপ থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।
  • উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হলে এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে হিজামার চারটি সেশন গ্রহন করে আপনি ওষুধ ছাড়াই উচ্চ রক্তচাপ মুক্ত জীবন-যাপন করতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ।
  • হিজামা বিশেষজ্ঞ এর মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপের জন্য শরীরের সুনির্দিষ্ট পয়েন্টে কাপিং বা হিজামা করানো।
  • কাপিং বা হিজামার মাধ্যমে হাড়ক্ষয়, মাথাব্যথা, পিঠের ব্যথা, কমরে ব্যথা,পা অবস বা পায়ে ঝিঁঝিঁ ধরাসহ যেকোন ধরনের ব্যথাজনিত রোগের চিকিৎসা করা যায়।
  • কাপিং বা হিজামার অন্যতম গুন হচ্ছে এ চিকিৎসা সাইড এফেক্ট বা পার্শ প্রতিক্রিয়া ‍মুক্ত।
  • উচ্চ রক্তচাপের জন্য মেরুদন্ডসহ আরো কিছু পয়েন্টে হিজামার এক বা একাধিক সেশনের দরকার হয়ে থাকে
  • হিজামা বিশেষজ্ঞ কাপিং বা হিজামা পরবর্তী যে গাইড লাইন দেবেন তা যত্নসহকারে ফলো করতে হবে।
 
উচ্চ রক্তচাপে ভুগলে আজই কাপিং বা হিজামা থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করিয়ে নিন ওষুধবিহীন ন্যাচার‌্যাল চিকিৎসা গ্রহন করুন।
 
আব্দুছ ছবুর চৌধুরী
ফাউন্ডার এবং সিইও

হিজামা এন্ড রুকিয়া ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ।

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *