ব্রেন স্ট্রোক (Brain Stroke) প্রতিরোধে ও চিকিৎসায় হিজামা থেরাপী:

ব্রেন স্ট্রোক কি?
মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহকারী রক্তনালিতে রক্ত জমাট বেধে বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে যে অবস্থার সৃষ্টি হয় তাকে ব্রেন স্ট্রোক বলে।
ব্রেন স্ট্রোক সাধারণত বয়স্ক লোকদের, বিশেষ করে যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের মধ্যে দেখা যায়।
 
ব্রেন স্ট্রোকের কারণ ও ঝুঁকি সমূহ:
  • রক্ত নালিতে বাধাঃ শরিরের অন্যান্য স্থানের ন্যায় মস্তিষ্কের রক্তনালিতেও চর্বি জমে রক্ত সরবরাহে বাধার সৃষ্টি করতে পারে। ফলে মস্তিষ্কে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন এবং পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়।
  • রক্তক্ষরণঃ মস্তিষ্কের রক্তনালি ফেটে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হতে পারে।
  • ঝুঁকিসমূহঃ শরীরের অতিরিক্ত ওজন,কায়িক পরিশ্রম বিমুখতা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহন, তামাক গ্রহণ, বংশগত, ডায়াবেটিস, রক্তে অতিরিক্ত চর্বি, চল্লিশ ঊর্ধ্ব বয়স ও মদপান।
 
ব্রেন স্ট্রোকের লক্ষণ সমূহ:
  • মুখ বাঁকা হয়ে যাওয়া, একটি চোঁখ বন্ধ হয়ে যাবে
  • একটি হাত অবশ হয়ে যাওয়া
  • কথা বলতে না পারা, বা অস্পষ্টভাবে কথা বলা
  • প্রচন্ড মাথা ব্যথা
  • দ্বিধাগ্রস্ত হওয়া।
 
প্রাথমিক চিকিৎসা:
  • ব্যক্তিকে কথা বলতে বলুন এবং উভয় হাত উপরে তুলতে বলুন। ব্যক্তি স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে মুখ বাঁকা হয়ে যাবে এবং শুধুমাত্র একটি হাত উপরে তুলতে পারবে।
  • ব্যক্তিকে আশ্বস্ত করুন এবং হাসপাতালে প্রেরণের ব্যবস্থা করুন।
  • হাসপাতালে পৌছানোর পূর্ব পর্যন্ত শ্বাসপ্রশ্বাস, পাল্স ও সাড়া দেওয়ার পর্যায় মনিটর করুন।
 
সাবধানতা:
  • ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে গেলে তার শ্বাসনালি খুলে দিন এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিন।
  • ব্যক্তিকে কোন প্রকার খাবার বা পানীয় দেয়া যাবে না।
  
ব্রেন স্ট্রোক প্রতিরোধে ও চিকিৎসায় হিজামা থেরাপী:
  • হিজামা থেরাপী ব্রেন স্ট্রোক প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে মাথা, ঘাড়সহ শরীরের সুনির্দিষ্ট পয়েন্টে হিজামার থেরাপী গ্রহণের মাধ্যমে ব্রেন স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যায়। ব্রেন স্ট্রোক এর অন্যতম কারণ হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ, হিজামা থেরাপীর মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপের প্রতিরোধ ও চিকিৎসা করা সম্ভব।
  • ব্রেন স্ট্রোক রোগীকে যত তাড়াতাড়ি হিজমা থেরাপী আওতায় নিয়ে আসা যায় তত দ্রুত আরোগ্য লাভ করা যায়।
  • হিজামা বিশেষজ্ঞ এর মাধ্যমে স্ট্রোকের রোগীকে সুনির্দিষ্ট পয়েন্টে কাপিং বা হিজামা করানো।
  • কাপিং বা হিজামার মাধ্যমে হাড়ক্ষয়, উচ্চ রক্ত চাপ, পিঠের ব্যথা, কমরে ব্যথা,পা অবস বা পায়ে ঝিঁঝিঁ ধরাসহ যেকোন ধরনের ব্যথাজনিত রোগের চিকিৎসা করা যায়।
  • কাপিং বা হিজামার অন্যতম গুন হচ্ছে এ চিকিৎসা সাইড এফেক্ট বা পার্শ প্রতিক্রিয়া ‍মুক্ত।
  • ব্রেন স্ট্রোক এর রোগীর এসেসমেন্টের উপর নির্ভর করবে কয়টি সেশন কপিং বা হিজামা থেরাপীর লাগতে পারে
  • হিজামা বিশেষজ্ঞ কাপিং বা হিজামা পরবর্তী যে গাইড লাইন দেবেন তা যত্নসহকারে ফলো করতে হবে।
  • হিজামা থেরাপীর পাশাপাশি অন্য চিকিৎসা করাতে কোন বাধা নেই।
ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য দ্রুত হিজামা বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করে আজই হিজামা থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করিয়ে নিন
আব্দুছ ছবুর চৌধুরী
ফাউন্ডার এবং সিইও

হিজামা এন্ড রুকিয়া ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ।

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *